ব্যাখ্যা: ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলেটরে কালচে অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে ওঠে তা সিলিকন চিপের ভিত্তিতে তৈরি। এই ধরনের ডিভাইসে সিলিকন চিপ মূলত ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা ঘড়ি বা ক্যালকুলেটরের গণনা বা সময় প্রদর্শনের জন্য কাজ করে। সিলিকন চিপ তথ্যকে প্রসেস করে LCD স্ক্রিনে প্রেরণ করে। LCD স্ক্রিনে থাকা তরল স্ফটিক অণুগুলো বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং আলোকে বিশেষভাবে বেঁকিয়ে সেই কালচে অনুজ্জ্বল লেখা বা সংখ্যা তৈরি করে, যা আমরা দেখতে পাই।

ব্যাখ্যা: মানুষের সাধারণভাবে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে, মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম। এর মধ্যে ২২টি জোড়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্রোমোজোম (অটোজোম) এবং ১ জোড়া যৌন ক্রোমোজোম (X এবং Y) থাকে, যা মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। অটোজোম মোট ২২ জোড়া (৪৪টি ক্রোমোজোম), যা দেহের সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্স ক্রোমোজোম ১ জোড়া (২টি ক্রোমোজোম), X ও Y ক্রোমোজোম, যা লিঙ্গ নির্ধারণে সহায়ক। নারীর ক্ষেত্রে দুটি X ক্রোমোজোম (XX) এবং পুরুষের ক্ষেত্রে একটি X এবং একটি Y ক্রোমোজোম (XY) থাকে। ** জেনে রাখুন: ক্রোমোজোম (Chromosome) হচ্ছে নিউক্লিক এসিড (DNA, RNA) ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত কোষের একটি জটিল অঙ্গ, যার মধ্যে জীবের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে। ক্রোমোজোমকে বংশগতির বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক বলা হয়।

ব্যাখ্যা: কাচ তৈরির প্রধান উপাদান বা কাঁচামাল হলো - সিলিকন ডাই অক্সাইড বা বালি। মূলত বালিতে তাপ প্রয়োগ করে উত্তপ্ত করে কাচ তৈরি করা হয়।

ব্যাখ্যা: স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানী ড. ইয়ান উইলমুট এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী ‘Adult cell’ এর মাধ্যমে ক্লোন করে প্রথম যে ভেড়ার জন্ম দেন তার নাম দেন ডলি। ১৯৯৬ সালে ডলির জন্ম। ডলি মূলত জেনেটিকালি পরিবর্তিত ভেড়া তৈরির একটি বিস্তৃত প্রকল্পের অংশ ছিল। যা তাদের দুধে থেরাপিউটিক প্রোটিন তৈরি করতে পারে। জন্মের প্রায় ছয় বছর পর ফুসফুসের দুরারোগ্য টিউমারে মারা যায় ডলি।

ব্যাখ্যা: সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ১০ নিউটন । বায়ুর চাপ সাধারণভাবে ১ এ্যাটমোস্ফিয়ার (১ atm) বা ১০১.৩ কিলোপ্যাস্কাল (kPa) হিসাবে পরিমাপ করা হয়। এটি প্রতি বর্গমিটার (m²) ১০১,৩০০ নিউটন বা প্রতি বর্গসেন্টিমিটার ১০ নিউটন সমান।

ব্যাখ্যা: জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ সব চাইতে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা কার্বন-ডাই-অক্সাইড। জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) দহনের সময় প্রচুর পরিমাণে CO₂ নির্গত হয়। CO₂ তাপ ধরে রেখে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ায়, যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যদিও মিথেন (CH₄) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) সহ অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসও রয়েছে, তবুও CO₂ এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং এটি সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলছে।

ব্যাখ্যা: নাইট্রোজেন গ্যাস থেকে ইউরিয়া সার প্রস্তুত করা হয়। ইউরিয়া একটি বহুল ব্যবহৃত সার। ইউরিয়া সারে ৪৬ ভাগ নাইট্রোজেন থাকে। বিভিন্ন ধরনের আবাদী জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জমিতে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ বাড়ানোর কাজে সাহায্য করে। জমিকে উর্বর করতে সাহায্য করে। ইউরিয়া সার নাইট্রোজেন সরবরাহ করে থাকে যা শিকড়ের বৃদ্ধি- বিস্তারে সহায়তা করে থাকে।

ব্যাখ্যা:

১, ৩, ৬, ১০, ১৫, ২১, ............

প্রথম পদ = ১

২য় পদ =$১+২=৩$

৩য় পদ $৩+৩=৬$

৪র্থ পদ $৬+৪=১০$

৫ম পদ $১০+৫=১৫$

৬ষ্ঠ পদ $১৫+৬=২১$

৭ম পদ $২১+৭=২৮$

৮ম পদ $২৮+৮=৩৬$

৯ম পদ $৩৬+৯=৪৫$

$\therefore$ ১০ম পদ $৪৫+১০=৫৫$

ব্যাখ্যা: দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনিজ প্রকল্পের কাজ চলছে, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কয়লা খনি প্রকল্প। এই খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিশেষ করে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকল্পটি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ** জেনে রাখুন: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রকল্পটি ১৯৮৫ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং ১৯৯৪ সালে এর খনি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। ২০০৫ সালে এই খনি থেকে প্রথম কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। চীন সরকার এই প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে সহায়তা করেছে এবং খনির উন্নয়ন প্রকল্প চীনের একটি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই খনির কয়লা ১২০ থেকে ৪৭০ মিটার গভীরে পাওয়া যায়, এবং খনিতে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা আড়াআড়ি খনন (longwall mining) প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।

ব্যাখ্যা:

স্রোতের অনুকূলে বেগ = ১৮ + ৬ কি.মি/ঘণ্টা

= ২৪ কি.মি/ঘণ্টা

স্রোতের প্রতিকূলে বেগ $=১৮-৬$ কি.মি/ঘণ্টা

= ১২ কি.মি/ঘণ্টা

সময় = দূরত্ব $÷$ বেগ

$\therefore$ যাতায়াতে মোট সময় লাগবে $=\frac{৪৮}{২৪}+\frac{৪৮}{১২}$ ঘণ্টা

= ২ + ৪ ঘণ্টা

= ৬ ঘণ্টা

ব্যাখ্যা:

পিতা, মাতা ও পুত্রের মোট বয়স $৩৬\times ৩$ বছর

= ১০৮ বছর

পিতা ও মাতার মোট বয়স $৪৫\times ২$ বছর

= ৯০ বছর

$\therefore$ পুত্রের বয়স $১০৮-৯০$ বছর

= ১৮ বছর

ব্যাখ্যা:

ধরি,

দুধের পরিমাণ $৫x$

পানির পরিমাণ $x$

প্রশ্নমতে,

$৫x-x=৮$

$\Rightarrow ৪x=৮$

$\therefore x=২$

$\therefore$ পানির পরিমাণ ২ লিটার

ব্যাখ্যা:

১২ জন শ্রমিকের সময় লাগে ৩ দিন

$\therefore$ ১ জন শ্রমিকের সময় লাগে $৩\times ১২$ দিন

$\therefore$ ৯ জন শ্রমিকের সময় লাগে $\frac{৩\times ১২}{৯}$ দিন

= ৪ দিন

ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি

সঠিক হবে প্রযোজক ধাতু। মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থ (অপরকে নিয়োজিত করা অর্থে) ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয় তাকেই প্রযোজক বা নিজন্ত ধাতু বা কখনও কখনও কর্মবাচ্যের ধাতু বলা হয়। অন্যদিকে নাম ধাতু হলো বিশেষ্য, বিশেষণ ও অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত ধাতু এবং সংযোগমূলক ধাতু হলো বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে কর, দে, পা, খা, ছাড় ইত্যাদি মৌলিক ধাতুর সংযোগে গঠিত ধাতু। যেমন-ঘুম (বিশেষ্য) + আ + ক্রিয়া বিভক্তি = ঘুমাচ্ছে (নাম ধাতু) যোগ (বিশেষ্য) + কর (ধাতু) = যোগ কর (সংযোগমূলক ধাতু)

ব্যাখ্যা:

ক ও খ একত্রে ১ দিনে করতে পারে কাজের $\frac{১}{১২}$ অংশ

ক একা ১ দিনে করতে পারে কাজের $\frac{১}{২০}$ অংশ

$\therefore$ খ একা ১ দিনে করতে পারে কাজের $\left(\frac{১}{১২}-\frac{১}{২০}\right)$ অংশ

$=\frac{৫-৩}{৬০}$ অংশ

$=\frac{২}{৬০}$ অংশ

$=\frac{১}{৩০}$ অংশ

এখন,

খ কাজের $\frac{১}{৩০}$ অংশ কাজ করে ১ দিনে

$\therefore$ খ কাজের ১ অংশ কাজ করে $\frac{৩০\times ১}{১}$ দিনে

= ৩০ দিনে

শর্টকার্ট পদ্ধতি:

যে কোন একজনের কাজের সময় $=\frac{AB}{A-B}$

এখানে, $A>B$ হবে,

$A=২০$ দিন

$B=১২$ দিন

$\therefore$ সময় $=\frac{২০\times ১২}{২০-১২}$

$=\frac{২০\times ১২}{৮}$

= ৩০ দিন

ব্যাখ্যা:

দুইটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের অন্তর ৪৭

$\therefore$ ছোট সংখ্যাটি $=\frac{৪৭-১}{২}$

$=\frac{৪৬}{২}$

= ২৩

বড় সংখ্যাটি $=\frac{৪৭+১}{২}$

$=\frac{৪৮}{২}$

= ২৪

১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেন শফিকুল হক হীরা। এটি ছিল কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসরে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ।

ব্যাখ্যা:

বর্গের বাহুর দৈর্ঘ্য $a=$ ৮ ফুট

$\therefore$ বর্গের কর্ণের দৈর্ঘ্য $\sqrt{২}a=৮\sqrt{২}$ ফুট

$\therefore$ কর্ণের উপর বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ${\left(৮\sqrt{২}\right)}^{২}$ বর্গফুট

$=৬৪\times ২$ বর্গফুট

= ১২৮ বর্গফুট

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ -এর তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপিতে কৃষির বিভিন্ন উপখাতের সমন্বিত অবদান ১৩.৪৪ শতাংশ। আপডেট: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, GDP তে কৃষিখাতের অবদান ১১.৩৮ শতাংশ।