ব্যাখ্যা: লৌহ তেজস্ক্রীয় পদার্থ নয়। তেজস্ক্রীয় পদার্থ এমন পদার্থ যা স্বাভাবিকভাবে তেজস্ক্রীয় বিকিরণ নির্গত করে, যেমন আলফা, বিটা, বা গামা রশ্মি। এই পদার্থগুলি সাধারণত ভারী মৌলিক উপাদান যেমন ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, এবং প্লুটোনিয়াম থেকে আসে, যা পারমাণবিক অস্থিরতা বা বিভাজনের মাধ্যমে তেজস্ক্রীয় বিকিরণ ছড়ায়। লৌহ তেজস্ক্রীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে না। এর পারমাণবিক কাঠামো স্থিতিশীল এবং এটি স্বাভাবিক অবস্থায় তেজস্ক্রীয় বিকিরণ উৎপন্ন করে না। লৌহ সাধারণত মেটালিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, এবং এর বিভিন্ন ব্যবহার যেমন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি, এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিস্তৃত, কিন্তু এটি তেজস্ক্রীয় বিকিরণের সাথে সম্পর্কিত নয়।

ব্যাখ্যা: তিন বছরের বলকান যুদ্ধের অবসান এবং অখণ্ড গণতান্ত্রিক বসনিয়া-হার্জেগোভিনা গঠনের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে ডেটন শহরের রাইট পিটারসন বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় খসড়া শান্তি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধরত বসনিয়া, সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে ডেটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ব্যাখ্যা: লৌহের স্থিতিস্থাপকতা বেশি। বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ করে কোনো বস্তুর আকার বা আয়তন বা উভয়েরই পরিবর্তনের চেষ্টা করলে যে ধর্মের ফলে, বস্তুটি এই পরিবর্তনের প্রচেষ্টাকে বাধা দেয় এবং বাহ্যিক বল অপসারিত হলে বস্তু তার পূর্বের বা আগের আকার ও আয়তন ফিরে পায়, সেই ধর্মকে স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়। যে বস্তুর বাধা দেওয়ার ক্ষমতা বেশি তার স্থিতিস্থাপকতাও বেশি হবে । লোহা ও রবারের মধ্যে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা লোহার বেশি তাই লোহা রবারের চেয়ে বেশি স্থিতিস্থাপক ।

ব্যাখ্যা: যে মসৃন তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে। সাধারণত কাচের একদিকে ধাতুর (সাধারণত রূপার) প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়। দর্পণ মূলত ২ প্রকার। যথাঃ ১। সমতল দর্পণ এবং ২। গোলীয় দর্পণ।

ব্যাখ্যা: তড়িৎশক্তি শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয় লাউড স্পিকারের মাধ্যমে । এটি বৈদ্যুতিক সংকেত গ্রহণ করে, চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে একটি ডায়াফ্রামকে কম্পিত করে এবং এই কম্পন থেকে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়ায় বৈদ্যুতিক শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যা বিভিন্ন অডিও সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়, যেমন রেডিও, টেলিভিশন, এবং অন্যান্য সাউন্ড সিস্টেমে। *** জেনে রাখুন:‘এমপ্লিফায়ার’ বিবর্ধক শব্দশক্তিকে জোরালো করে। জেনারেটর যান্ত্রিকশক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং মাইক্রোফোন শব্দতরঙ্গকে বিদ্যুৎ প্রবাহে পরিণত করে।

ব্যাখ্যা: এলুমিনিয়াম পদার্থটি চৌম্বক পদার্থ নয়। যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে প্রভাবিত হয়, তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে। যথা: কাচা লোহা,কোবাল্ট, ইস্পাত, নিকেল ইত্যাদি চৌম্বক পদার্থ। চৌম্বক পদার্থ তিন প্রকার। এগুলো হলো–১। প্যারা-ম্যাগনেটিক পদার্থ ; ২। ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থ ; ৩।ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থ ।

ব্যাখ্যা: মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কার করে কোন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পান হেস । ’Cosmic Ray‘ কে বাংলায় মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়। মহাজাগতিক রশ্মি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ভিকটর হেস। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে অপর বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মহাজাগতিক রশ্মিতে থাকে শতকরা ৮৯ ভাগ প্রোটন, ৯ ভাগ বিকিরণ এবং ২ ভাগ থাকে কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও লোহার ভারি নিউক্লিয়াস।

ব্যাখ্যা: ফ্যাদোমিটার দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় । এটি সাধারণত একটি লম্বা কেবল বা স্কেল এবং একটি ভারী বস্তুর (যেমন বোটম) সমন্বয়ে তৈরি হয়। এটি একটি প্রাচীন ও সরল পদ্ধতি, এবং বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সোনার এবং অন্যান্য উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয় গভীরতার মাপার জন্য। অ্যারিওমিটার হলো আপেক্ষিক গুরুত্ব পরিমাপের যন্ত্র। জাইরোকম্পাস হলো জাহাজের দিক নির্ণায়ক যন্ত্র।

ব্যাখ্যা: ইনসুলিন হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়। ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রধান হরমোন,এক ধরনের পলিপ্যাপটাইড, যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো (আইল্যেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স-এর বিটা কোষ) থেকে নিঃসৃত হয়। মূলত ডায়েবেটিস মেলাইটাস এ ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ব্যাখ্যা:

দুটি নল একত্রে ১ মিনিটে পূর্ণ করে চৌবাচ্চার $\frac{১}{৮}$ অংশ

$\therefore$ দুটি নল একত্রে ৪ মিনিটে পূর্ণ করে $\frac{৪}{৮}$ অংশ

$=\frac{১}{২}$ অংশ

২য় নল ৬ মিনিটে পূর্ণ করে বাকী $\frac{১}{২}$ অংশ

$\therefore$ ২য় নল ১ মিনিটে পূর্ণ করে বাকী $\frac{১}{২\times ৬}$ অংশ

$=\frac{১}{১২}$ অংশ

$\therefore$ ২য় নল চৌবাচ্চাটি পূর্ণ করে ১২ মিনিটে

আবার,

১ম নল ১ মিনিটে পূর্ণ করে $\left(\frac{১}{৮}-\frac{১}{১২}\right)$ অংশ

$=\frac{৩-২}{২৪}$ অংশ

$=\frac{১}{২৪}$ অংশ

$\therefore$ ১ম নল চৌবাচ্চাটি পূর্ণ করে ২৪ মিনিটে।

ব্যাখ্যা:

সুদের হার $r=৪\frac{১}{২}\%$

$=\frac{৯}{২}\%$

সময় $n=৪$ বছর

সুদ-আসল $A=৮২৬$ টাকা

এখন,

আসল $P=\frac{১০০A}{১০০+nr}$

$=\frac{১০০\times ৮২৬}{১০০+৪\times \frac{৯}{২}}$

$=\frac{১০০\times ৮২৬}{১০০+১৮}$

$=\frac{১০০\times ৮২৬}{১১৮}$

$=১০০\times ৭$

= ৭০০ টাকা

ব্যাখ্যা:

ধরি,

পুত্রের বর্তমান বয়স * বছর

$\therefore$ পিতার বর্তমান বয়স * বছর

প্রশ্নমতে,

$৪x-৬=১০\times \left(x-৬\right)$

$\Rightarrow ৪x-৬=১০x-৬০$

$\Rightarrow ৬x=৫৪$

$\Rightarrow x=৯$

$\therefore$ পুত্রের বর্তমান বয়স ৯ বছর

পিতার বর্তমান বয়স $৪\times ৯$ বছর

= ৩৬ বছর

ব্যাখ্যা:

দেওয়া আছে,

$x^2+y^2=8$

$xy=7$

এখন,

${\left(x+y\right)}^2=x^2+y^2+2xy$

$=8+2\times 7$

= 22

ব্যাখ্যা:

বিকেল ৩টা অর্থ্যাৎ বেলা ১২ + ৩ টা

= ১৫ টা

$\therefore$ ট্রেনের যাত্রাকাল $\left(১৫-৭\right)$ ঘণ্টা

= ৮ ঘণ্টা

$\therefore$ ট্রেনটির গড় গতিবেগ $\frac{৩০০}{৮}$ কি.মি/ঘণ্টা

= ৩৭.৫ কি.মি/ঘণ্টা

ব্যাখ্যা:

সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের,

সমান সমান বাহুর দৈর্ঘ্য $a=10$ মিটার

ভূমি $b=16$ মিটার

এখন,

ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল $=\frac{b}{4}\sqrt{4a^2-b^2}$

$=\frac{16}{4}\sqrt{4\times {\left(10\right)}^2-{\left(16\right)}^2}$

$=4\sqrt{400-256}$

$=4\sqrt{144}$

$=4\times 12$

= 48 বর্গ মিটার

ব্যাখ্যা:

ধরি,

$P$ যোগ করতে হবে

প্রশ্নমতে,

$\frac{x}{y}+P=\frac{2y}{x}$

$\Rightarrow P=\frac{2y}{x}-\frac{x}{y}$

$\therefore P=\frac{2y^2-x^2}{xy}$

Explanation: সরকারের অভাবে যেমন অরাজকতা (Anarchy) সৃষ্টি হয় তেমনি সম্পদের (wealth) অভাবে দারিদ্র্য (penury) আসে।

So, the correct answer is option "A".

ব্যাখ্যা:

সরলরেখার দৈর্ঘ্য $x$ হলে,

বর্গের ক্ষেত্রফল $x^2$

সরলরেখার অর্ধেকের দৈর্ঘ্য $\frac{x}{2}$ হলে,

বর্গের ক্ষেত্রফল ${\left(\frac{x}{2}\right)}^2=\frac{x^2}{4}$

এখন,

$\frac{x^2}{\frac{x^2}{4}}$

$=x^2\times \frac{4}{x^2}$

= 4

$\therefore$ একটি সরলরেখার উপর অঙ্কিত বর্গ ঐ সরলরেখার অর্ধেকের উপর অঙ্কিত বর্গের 4 গুণ।

ব্যাখ্যা:

$x$ ও $y$ এর মোট মান $৯\times ২=১৮$

$x,y,z$ এর মোট মান ১৮ + ১২ = ৩০

$\therefore x,y,z$ এর মানের গড় $\frac{৩০}{৩}=১০$

ব্যাখ্যা: হাওয়ার্ড এইকিন প্রথম স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং অ্যাবাকাস হচ্ছে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০-৫০০ অব্দে চীন/মিশরে ব্যবহৃত এক ধরনের গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন।