কিসের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়?
Last Updated October 30, 2024
প্রতিফলন
প্রতিধ্বনি
প্রতিসরণ
প্রতিসরাঙ্ক
১৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী
ব্যাখ্যা: প্রতিধ্বনি সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি সোনার সিগন্যাল বা শব্দ তরঙ্গ সমুদ্রের তলায় পাঠানো হয়। সিগন্যালটি সমুদ্রের তলায় পৌঁছে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে। সিগন্যালটির প্রেরণ এবং গ্রহণের মধ্যে সময় পরিমাপ করে গভীরতা নির্ণয় করা হয়। গভীরতা নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত মূল সূত্রটি হলো: গভীরতা= (v×t)/2 এখানে: v = শব্দের গতির মান (জল বা সমুদ্রের তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল); t = সিগন্যালের যাত্রার মোট সময় (প্রেরণ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত)। ** জেনে রাখুন: যখন কোনো শব্দ মূল শব্দ থেকে আলাদা হয়ে মূল শব্দের পুনরাবৃত্তি করে, তখন ঐ প্রতিফলিত শব্দকে প্রতিধ্বনি বলে। যে সময় ধরে মানুষের মস্তিষ্কে মূল শব্দের অনুভূতি থেকে যায় অর্থাৎ ১/১০ সেকেন্ড সময়কে শব্দনুভূতির স্থায়িত্ব কাল বা শ্রুতি রেশ বলে।স্পষ্ট প্রতিধ্বনি শুনতে হলে শ্রোতা এবং প্রতিফলকের মধ্যে দূরত্ব অন্তত ১৬.৬ মিটার হতে হবে। শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে সমুদ্রের গভীরতা, কুয়ার গভীরতা, খনিজ পদার্থের সন্ধান, উড়োজাহাজের উচ্চতা নির্ণয় থেকে শুরু করে বিভিন্নরকম কাজ করা যায়।